নাদিম হায়দার, বিশেষ প্রতিনিধি:
পূর্ব শত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুন সেমি পাকা বসতঘর ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের ডাকাতিয়া পাড়ায় গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে ঘরের সব মালামাল পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। ক্ষতিগ্রস্ত মো. ওয়াদুদ হাওলাদার (৫৫),বলেন, ঘটনার সময় আমরা ঢাকায় ছিলাম। বাড়ি ছিল একেবারেই ফাঁকা।
কেউ না থাকায় রাতের আধারে দুর্বৃত্তরা ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে ঘরের আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিকসামগ্রী, কাপড়চোপড়সহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মো. ওয়াদুদ হাওলাদার বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গেল বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৩ টার দিকে প্রতিবেশীরা কাপড় টিন পোড়ার গন্ধ পায়। প্রতিবেশীরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে তার ঘরের ভেতরে আগুন দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার দিয়ে সবাইকে আগুন নিভাতে এগিয়ে আসেন। কিন্তু ঘর তালা দেওয়া থাকায় আগুন ঘরে জ্বলতে থাকে। লোহার জালনাগুলো আগুনে জ্বলতে থাকার কারণে ঘরের ভিতর থেকে কোনো কিছুই বের করা যায়নি।
পরবর্তীতে প্রতিবেশীরা ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে সিরাজদিখান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। এর আগেই সেমি পাকা ঘরে থাকা সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওয়াদুদ হাওলাদারের স্ত্রী রাশেদা পারভীন শিখার দাবী দুর্বৃত্তরা তার আলমারিতে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকা নিয়ে গেছে। আলমারীটি তিনি ভাঙ্গা অবস্থায় পেয়েছেন।
ভুক্তভোগী ওয়াদুদ হাওলাদার রাশেদা পারভীন শিখা দম্পতির ১১ বছরে কামরুজ্জামান শুভ নামের শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলে রয়েছে। সবকিছু হারিয়ে এখন পরিবারটি একেবারেই নিঃস্ব। পূর্বেও ওই এলাকার একটি ক্লাবঘর দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল।
এমন ঘটনায় প্রতিবেশীরা হতভম্ব। বাড়িতে একটি পালিত কুকুর ছিল সেটিও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরপরই মারা যায়। অবিলম্বে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করেন বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আমি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই তারা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।